শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
তীব্র গরমে নীলফামারীতে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিশেষ করে ভোগান্তি বেড়েছে খেটে
খাওয়া মানুষের। ক্রমাগত দাবদাহে ওষ্ঠাগত মানুষ ও প্রাণীকূলের জীবন।
পানিশূণ্যতা ও ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও
বেড়েছে।
নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডিমলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে
যাওয়ার কারণে এমন গরম অনুভূত হচ্ছে। যা আরো কয়েকদিন থাকতে পারে।
উত্তরের জনপদ নীলফামারীতে টানা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। সূর্যোদয়ের পরপরই
রুদ্র্রমূর্তি ধারণ করছে প্রকৃতি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মাঝারি
তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে এমন গরম।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সোমবার (২৪ জুন) সৈয়দপুরে তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা চলতি জুন মাসে সর্বোচ্চ
দ্বিতীয়।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন “ভিষন
বাংলা24ডটকম” বলেন, এর আগে গত ১৩ জুন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রী
সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা ছিল এ বছরের মধ্যে রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা।
এদিকে ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান “ভিশন
বাংলা24ডটকম” বলেন, ডিমলায় আজ সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫
ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে গরমে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রায় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে
নীলফামারীর এই দুই আবহাওয়া অফিস। তবে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে হাল্কা
বৃষ্টিপাত হবে বলে জানান তারা। বৃষ্টির সাথে সাথে তাপমাত্রাও কমবে বলে
আশা করছেন তারা।
এদিকে, নীলফামারী জেলা শহরে চরমে পৌছেছে গরমের তীব্রতা। প্রচন্ড তাপদাহে
বিস্তীর্ণ ক্ষেতজমি এলাকায় বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করতে গিয়ে
অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কৃষকেরা।
তাপমাত্রা বাড়ায় সোমবার দুপুরে নীলফামারী জেলা জজকোর্টের নিচতলায় কিছু
ককুরকে পরিশ্রান্ত হয়ে ঘুমাতে দেখা যায়। নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালসহ
উপজেলার হাসপাতালগুলোয় ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে। নীলফামারী
আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২শ’ থেকে ৫শ’ রোগীকে সেবা দেয়া হচ্ছে।
তীব্র গরমের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরেও কম বের হচ্ছেন। তীব্র
গরমের কারণে জেলার ৬ উপজেলায় গত কয়েকদিনে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছেন।